1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

কমলগঞ্জে খোলা আকাশের নিচে ময়লা-কাঁদা পানি বাগাড় নিয়ে মাছ-মাংস বিক্রি : ক্রেতা দুর্ভোগ

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১০০ বার পঠিত

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : সরকারি ইজারাভুক্ত উপজেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাজারে খোলা আকাশ, নিচে ময়লা কাঁদা পানি আর পিছনে ময়লার বাগাড় নিয়ে মাচ বিক্রি করা হয়। প্রতিদিনই দুর্ভোগ মাতায় নিয়ে ক্রেতারা এসে পরনের কাপড় বিনষ্ট করে মাছ কিনে নেন। ইউনিয়ন পরিষদে বাজার উন্নয়নের তহবিল থাকলেও পুরাতন টিনের ঘর ভেঙে যাওয়া প্রায় ১৫ বছরেও নতুন ছাউনি ঘর নির্মাণ করা হয়নি। এ দৃশ্যটি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগর মাছ বাজারের।

বুধবার (৫ এপ্রিল) সকালে সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিক্রেতারা নানা জাতের ছোট বড় মাছ নিয়ে এসে সাজিয়ে বসেছেন একটু উঁচু স্থানে। সকালে তাজা ভালো মাছ কিনতে নিচের কাঁদা ও ময়লা পানির উপর হেটে মাছ কিনছেন ক্রেতারা। মাছ বিক্রির জন্য এক থেকে দেড় ফুট উঁচু ঢালাই করা স্থানে বসেছেন বিক্রেতারা। তবে এ ঢালাই স্থানের উপর আগে পাকা খুটি দিয়ে টিনের চালের ছাউনি থাকলেও এখন আর খুটিও নেই চাল নেই। তাই বিক্রেতারা খোলা আকাশের নিচে বসে মাছ বিক্রি করেন।

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে মাছ নিয়ে আসা বিক্রেতা তাজু মিয়া বলেন, প্রায় ১০/১৫ বছর আগে এখানে টিনের চালার ছাউনি ছিল। পাকা খুটি ভাঙার পর পর্যায়ক্রমে টিনের চালও উধাও হয়ে গেছে। তাই তারা রোদে পুড়ে বর বৃষ্টিতে ভিজে মাছ বিক্রি করেন। তারা ইজারাদারকে প্রতিদিন টুল দিলেও তাদের জন্য টিনের ছাউনি নির্মাণ করে দোওয়া হয়নি।

ক্রেতা নজরুল ইসলাম খান বলেন, মাছবাজারে ছাউনি না থাকার সাথে বেশি সমস্যা হচ্ছে ক্রেতা হাটাচলার স্থানে কাঁদা ও কালো ময়লা পানি। এগুলো মাড়িয়ে তাদের মাছ কিনতে হয়। সাথেই রয়েছে মাংস বিক্রির স্থান। সে স্থানের ঠিক পিছনে বিশাল ময়লার বাগাড়। সেখান থেকে আসে দুর্গন্ধ। এ বাজারে আসারা পর পরনের জামা কাপড় বিশেষ করে প্যান্ট পায়জামা বিনষ্ট হয়। তাই বাসায় ফিরে আগে গোসল করতে হয়। বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি, ইউনিয়ন পরিষদ বা উপজেলা প্রশাসন কেউ এ দিকে নজর দিচ্ছেন না বলে ক্রেতাদের দুর্ভোগ কমছে না।

শমশেরনগর বণিক কল্যান সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে বাজার উনয়নের তহবিল থাকলেও এবং ইজারা থেকে ভালো একটি টাকার অংশ ইউনিয়নে আছে। তবে অদৃশ্য কারণে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শমশেরনগর মাছ বাজারে প্রয়োজনীয় টিনের ছাউনি ও পানি নিষ্কাশনের সু- ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। তাই এ সমস্যা থেকে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন কমলগঞ্জে সর্বোচ্চ মূল্য ৫৫ লাখ টাকায় এ বাজার ইজারা হয়েছে। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে সু- দৃষ্টি দিতে বণিক কল্যান সমিতি দাবি জানায়।

শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জুয়েল আহমদ শমশেরনগর মাছ বাজারের সমস্যার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এখানে টিনের প্রয়োজনীয় ছাউনি নির্মাণ করা হবে। তবে কত দিনের মধ্যে এ কাজটি সম্পন্ন হবে তা তিনি সঠিক করে বলতে পারেননি।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেন, জনপ্রতিনিধিরাতো পরিষদের সভায় বলতে হবে কোথায় কি প্রয়োজন। তাছাড়া সকল ইউনিয়নে হাট বজার উন্নয়নের তহবিল আছে। সে তহবিল থেকে প্রয়োজনীয় নির্মাণ কাজ করে নিতে হয়। শমশেরনগর মাছ বাজারের সমস্যা তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..